The Fact About মাশরুম চাষ পদ্ধতি That No One Is Suggesting

বর্তমানে যে সব প্রজাতির মাশরুম বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় সে গুলো হলো-গুটি বা বাটন মাশরুম, ঋষি মাশরুম, মিল্ক হোয়াইট মাশরুম, স্ট্র মাশরুম, ওয়েস্টার মাশরুম।

১১. মাশরুমে স্ফিঙ্গলিপিড এবং ভিটামিন বি-১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড সুস্খ রাখে। তাই মাশরুম খেলে হাইপারটেনশন দূর হয় এবং মেরুদণ্ড দৃঢ় করে।

খাওয়ার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হতে ৫ বা ৬ দিন সময় লাগবে। পরবর্তীতে খাবার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হলে গোড়া থেকে তা তুলে নিতে হবে।

মাশরুমের প্যাকেট ৫ থেকে ১০ মিনিট উপুড় করে রাখতে হবে যাতে প্যাকেট হতে অতিরিক্ত পানি ঝরে যায়। পানি ঝরে গেলে ঘরের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে এটি রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন এর উপর অন্তত ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।

>> একটা বেড থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত দফায় দফায় মাশরুম সংগ্রহ করা যায়।

সম্ভাবনা: মাশরুম চাষ আমাদের দেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দিক। সরকার সঠিকভাবে মাশরুম চাষের দিকে নজর দিলে মাশরুম চাষ একটি অন্যতম সাফল্যমণ্ডিত ক্ষেত্রে পরিণত হবে। এখান থেকে হাজার হাজার বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মাশরুম চাষের দিকে নজর দিলে সম্ভাবনাময় মাশরুম চাষ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে এটাই সবার প্রত্যাশা এবং এই প্রত্যাশার প্রাপ্তি যেন ঘটে।

বাজার সম্ভাবনাঃ বাংলাদেশের বড় শহরগুলোর বিভিন্ন হোটেল, সুপার সোপগুলোতে ও চাইনিজ হোটেল্গুলোতে মাশরুমের অনেক চাহিদা রয়েছে। যার ফলে মাশরুমের বাজার মূলত শহরে গড়ে উঠেছে। এছাড়া বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে। ফলে মাশরুম শুকিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এজন্য বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশনসহ যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি দেশের বাইরে সবজি ও কাঁচামাল রপ্তানি করে থাকে তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মাশরুম বিদেশে মাশরুম রপ্তানি করা সম্ভব।

>> বীজ ছিটানোর পর একই নিয়মে আবার ৮-১০ সে.মি.

কৃষক, মধ্যবিত্ত ও শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে।

এটি এক ধরনের ছত্রাক ও খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। মাশরুম অনেক ধরনের থাকলে ও সব ধরনের জাতের মাশরুম খাওয়া যায় না।

মাশরুম চাষ পদ্ধতি: মাশরুম চাষ করতে গেলে সর্বপ্রথম সঠিক কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি। কিছু লোক একত্রে মিলেমিশে মাশরুম চাষ করলে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব। ঘরে বসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করা যায়। গ্রাম বা শহরের বেকার যুবকরা এই মাশরুম চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও ঘরে বসে অল্প মূলধনে মাশরুম চাষ শুরু করতে পারেন। মাশরুম চাষ করার জন্য আলোহীন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ প্রয়োজন, তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে, শহর ও গ্রামে সব জায়গায় মাশরুম চাষ করা সম্ভব। স্পূনগুলোকে রাখার জন্য ছোট ছোট মাচা ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো হতে পারে লোহা, বাঁশ কিংবা কাঠের। অতিরিক্ত গরম মাশরুম চাষের জন্য প্রতিকূল; এজন্য প্রয়োজন হলে ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি মাশরুম চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি প্রয়োজন। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্পূনগুলোতে নিয়মিত পানি দিয়ে স্যাঁতসেঁতে করে রাখতে হবে।

>> মাশরুম বেড সব সময় ভেজা থাকা দরকার। বেডের উপরিভাগ মাশরুম চাষ পদ্ধতি শুকিয়ে গেলে মাঝে মাঝে হালকাভাবে পানি ছিটিয়ে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

মাশরুম চাষ শুরু করার জন্য কতো টাকা প্রয়োজন

নিয়মিত মাশরুম খেলে শারিরীক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সেই সাথে রক্ত সঞ্চালণ বৃদ্ধি পায় এবং সর্দি, কাশি দূর হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *